রহমত নিউজ 10 November, 2022 03:54 PM
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এ যেসব অপরাধে জরিমানার বিধান রয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশ দ্বিগুণ করা হচ্ছে। নতুন আইনে শাস্তির আওতা বাড়ছে না। শাস্তি যথেষ্ট নয়, সেজন্য আরও অনেক আইন আছে। তবে জরিমানার পরিমাণগুলো দ্বিগুণ করা হচ্ছে।
আজ (১০ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অবহিতকরণ সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।
ভোক্তা ডিজি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে আমাদের জনবল সংকট আছে। তারপরও প্রতিদিন সারাদেশে ৪০ থেকে ৫০টি অপারেশন হচ্ছে। কিন্তু দেশের বাজার এতটা বিস্তৃত, এর ১০ গুণ কার্যক্রম পরিচালনা করলেও তা যথেষ্ট নয়। প্রসাধনীর ক্ষেত্রে প্রতারণার বিষয়টা ভয়াবহ। কেননা বৈধভাবে এ ব্যবসায় ব্যবসায়ীদের অনীহা আছে। সঠিক পরিমাণে ভ্যাট দিয়ে, অন্যান্য সব ঠিক রেখে বৈধভাবে ব্যবসা করে টিকে থাকা সম্ভব হচ্ছে না বলছেন অনেকে। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরেও কিছু প্রোডাক্ট তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, নিরাপদ খাদ্য বলতে যা বোঝায়, তা কোনো রেস্টুরেন্টই সার্ফ করে না। কোনো সুরক্ষার মানদণ্ডই তারা মানে না। কোনো না কোনো সমস্যা তাদের আছেই।অনেকেই চান ভোক্তা অধিদপ্তর সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। কিন্তু আমরা এখনো সেভাবে প্রস্তুত না। প্রশাসনিক আইন জুডিশিয়াল আইন নয়। আইন কঠোর হওয়া প্রয়োজন এবং আমরা সেই চেষ্টা করছি। ভোক্তা অধিদপ্তরের অফিসাররা মাজিস্ট্রেট নন, তাদের বিচারিক ক্ষমতা নেই। তারা শুধু এ আইনে জরিমানা করতে পারেন। মামলা করতে পারেন বাদী হয়ে। নিজে শাস্তি দিতে পারেন না।
সেমিনারে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আমরা সবাই দিনশেষে ভোক্তা। বাজারে পণ্য কিনতে গেলে আমাদের নিজের অধিকার সম্পর্কে জানতে হবে। আইনে কী আছে, সেটা জানতে হবে। ভোক্তা আইনটি এখন সংস্কার প্রয়োজন। আইনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। তবে এ সংস্থা এখন ভালো কাজ করছে, প্রতিষ্ঠানটি কোনো দল দেখে না। প্রতিষ্ঠানের মালিক কে সে খোঁজ নেয় না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়। সাংবাদিকরাও একসঙ্গে একই কাজ করেন। ভোক্তাকে আরও সচেতন হতে হবে। প্রতারিত হলে অভিযোগ দিতে হবে। সাংবাদিকদেরও এ আইনে প্রচার করতে হবে, যেন মানুষ প্রতারণার প্রতিকার পায়।